চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান জেলায় একটি পাবলিক রাবার কোম্পানির সাথে বিরোধ সমঝোতায় বান্দরবন সফর করেছেন এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’র নেতৃত্বে একটি উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি দল।
২৬ এপ্রিল (বুধবার) এই প্রতিনিধি দলটি বান্দরবান লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর তিনটি গ্রামের প্রায় ৪০০ একর জুম ভূমি ঘুরে দেখেন।
এ সময় ম্রো-ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠির লোকজন সংসদীয় উপকমিটির সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যায়, উৎপীড়ন ও ভূমি দস্যুতা থেকে আমাদের রক্ষা করুন” এমন আবেদন সংবলিত ব্যানারসহ বিভিন্ন দাবি সম্বেলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।
এ বিষয়ে পূর্বেই রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র ২নং সাব কমিটির আহ্বায়ক এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি’কে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি আহ্বায়কের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্য ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার বিরোধীয় ভূমি পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় বলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা জানায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ এপ্রিল ইজারা নেয়া হয়েছে—এমন দাবিতে ডলুছড়ি মৌজার ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০০ একর জুম ভূমির ফসল ও গাছপালা পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
পরিদর্শন কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি, বাসন্তী প্রভা চাকমা এমপি, রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি, পুলিশ সুপার তারেকুল ইসলাম বিপিএম, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা জাবেদ কায়সার, গজালিয়া ও সরই ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা ও ইদ্রিস কোং, লামা থানার ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: